বেশ কিছুদিন আগেই হিজাব মামলাতে ইসলাম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা দাবি করেন যে , সুপ্রিম কোর্ট হিজাব মামলায় কোরানের ভুল অর্থ করেছে।
পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেল যে ইউনিফর্ম ছাড়া শিক্ষা সংস্থানে অন্য কোনও পোশাক পরা চলবে না। এমনকি ব্যক্তি স্বাধীনতা যুক্তি দিয়েও কখনই অন্য পোশাক স্কুলে পরতে দেওয়া যায় না বলেও নির্দেশে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এরপরও পুরো বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে দেখা উচিত বলে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা হয়। এখানেই শেষ নয়, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বলেও জানান আবেদনকারীর আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তে অনুযায়ী যদি কেউ নিজের সম্মান এবং পরিচয় রক্ষা করতে হিজাব পরেন তাহলে কি তাকে বাধা দেওয়া উচিত এমনই প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারী আইনজীবী। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারক সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সবশেষে একটি উপায় পড়ে থাকে- কোরান বর্ণনা করা, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে কোরান ব্যাখ্যাকারী তারা নয়।
হিজাব মামলার শুনানিতেই বেশ কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে প্রবীণ আইজীবী ইউসুফ মুচ্চালা বলেছেন যে সব মুসলিম মহিলারা হিজাব পরেন, তাঁদের নিয়ে কখনই ব্যঙ্গ করা উচিত নয়, তাঁদের সম্মান দেওয়া প্রয়োজন। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা হিজাব পরার সাহস পেয়েছেন। তাঁদের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা উচিত নয়। শুনানিতে প্রশ্ন করেন কপিল সিব্বল। তিনি শুনানিতে বলেন, পোশাক ব্যক্তির অভিভ্যক্তিকে প্রচার করে, এটি তাঁর অধিকারে অতপ্রতভাবে জড়িত। সরকারি জায়গাতে যদি এই অধিকার পাওয়া যায় তাহলে স্কুলের গন্ডি পেরলে কীভাবে তা শেষ হয়ে যায়? সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকি এই বিষয় সংবিধানের বলা নেই বলে জোরদার প্রশ্ন আইনজীবীদের।