উত্সব মিটতেই আতঙ্ক শহরে। পাঁচ মাসের মধ্যে ফের বিপত্তি বউবাজারে। পুজোর পর নতুন করে মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হওয়ার পরই একের পর এক বাড়িতে দেখা দিল ফাটল। শুক্রবার ভোর রাতেই ফাটল চোখে পড়ে বাসিন্দাদের। আতঙ্কে ঘরছাড়া শতাধিক মানুষ। বউবাজারের মদন দত্ত লেনে এই ঘটনা ঘটেছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে মধ্য কলকাতার বউবাজার এলাকার বাড়িগুলিতে বারবার ফাটল দেখা দিচ্ছে। গত তিন বছরে একাধিকবার এই ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত এর কোনও সমাধান মেলেনি। ফলে ভুগতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার জেরে মেট্রো রেলের দিকে আঙুল উঠেছে। মোট ৩৪ টি বাড়ি তে ফাটল ধরা পড়ায় সবাই কে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁদের থাকার জন্য হোটেল এর ব্যবস্থা করা হলেও সকল মানুষের জন্য হোটেল এ জায়গা পাওয়া যায়নি । মেট্রোর কাজের জন্যই যে এই ফাটল ধরছে, তা স্পষ্ট। তবে সমাধানের উপায় কী? এই আবহে এবার কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র চান সমস্যা মেটাতে রেল বোর্ডের শীর্ষকর্তারা অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন।
ফিরহাদ হাকিম এ নিয়ে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না রেলবোর্ডের একেবারে শীর্ষস্তর থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কারণ এখানে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা বিষয়টা সামলে উঠতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ার নই, কিন্তু দীর্ঘদিন পুরসভার কাউন্সিলর থাকার সুবাদে আমার মনে হচ্ছে যে, যে জায়গায় মেশিন আটকে গিয়েছিল, সেখানেই ওয়াটার পকেট তৈরি হয়েছে। ওয়াটার পকেট থেকে জল ঢুকে যাওয়ার কারণেই মাটি ধুয়ে কাদায় পরিণত হচ্ছে। আর তার জেরেই এই ঘটনা। এই পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানে তাই এবার রেলবোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তিনি। তবে এ নিয়ে রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এদিকে এই ঘটনার পর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে মেট্রোরেল।