হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরই বসন্ত উৎসব। আর এই দোল উৎসব উপলক্ষে রাজস্থানে আগামী ১২ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত পালন করা হবে ব্রজউৎসব।রাজস্থানে মানুষেরা ব্রজ উৎসবে রাধা কৃষ্ণের সঙ্গে আবীর খেলায় মেতে ওঠেন।
সাধারণত ফাল্গুন মাসে শুক্লপক্ষে প্রতি বছর ভরত পুরে উৎসব টি হবার দু থেকে তিন দিন আগে এই ব্রজ উৎসবের আয়োজন করা হয়। শ্রী কৃষ্ণ ও তার প্রেমিকা রাধার প্রেমের ভাব প্রকাশের জন্যে প্রতিবছর এই জাকজমক করে উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে খেলাধূলা থেকে শুরু করে লোকনৃত্য এবং সঙ্গীত সভা সবকিছুরই আয়োজন করা হয়। ব্রজ রঙে মেতে উঠবে আট থেকে আশি সকলেই। রাজস্থানের দীগ, ভরতপুর ও কামানে এই মহাউৎসব পালন করা হয়।
ব্রজ উৎসব উপলক্ষে লোহাগড় স্টেডিয়ামে কাবাডি এবং খো-খোর মতো জনপ্রিয় স্থানীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এই মহোত্সব। এই উৎসবের প্রথম দিনে ভরতপুরে মেহেন্দি ও রঙ্গোলি তৈরি এবং পাগড়ি বাধার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে মেগা নাইট- সংস্কৃতির সন্ধ্যারও আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বিদ্যা শাহ তার সুরেলা কন্ঠে অনুষ্ঠানটিতে মাতিয়ে রাখবেন।ট্যুরিজম ডিরেক্টর আরও জানিয়েছেন, উত্সবের দ্বিতীয় দিন ডিগ-এ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে জনপ্রিয় স্থানীয় ক্রীড়া-কার্যকর্ম যেমন দড়ি-টানা, কাবাডি ইত্যাদি প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া মেহেন্দি অনুষ্ঠান, রঙ্গোলি তৈরির প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। পাগড়ি বাধার প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অসাধারণ রঙিন ফোয়ারার শো দেখানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই জমকালো অনুষ্ঠানে দেখা যাবে সুপরিচিত কত্থক নৃত্য শিল্পী মঞ্জরি চতুর্বেদী, রাজস্থানী লোক শিল্পীদের পারফরম্যান্স।
অনুষ্ঠানের শেষদিনে, কামান শহরে বিভিন্ন মন্দিরে ‘গুলাল হোলি’, ‘দুধ-দহি হোলি’ ও ‘লাড্ডু হোলি’ -সহ বিভিন্ন ধরণের হোলির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া গোপীনাথ মন্দির থেকে বল্লভজি মন্দির পর্য়ন্ত রাজস্থানী লোকশিল্পীদের শোভাযাত্রা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় হতে চলেছে। এছাড়া হোলির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কৃষ্ণভজন সন্ধ্যা ও ব্রজ রসিয়া গান-উত্সবেরও আয়োজন করা হয়েছে।