প্রথমে করোনা অতিমারি পরবর্তীকালে ইউক্রেন – রাশিয়ার যুদ্ধ, বিশ্ব জুড়ে তৈরি করেছে চরম মূল্যবৃদ্ধি। ইউক্রেন কে সাহায্য করা পশ্চিমী দেশ গুলি রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য অশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাঁধা দিলে মস্কো পাল্টা তেল রপ্তানি বন্ধ করার হুমকি দেয়।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর নিয়ে পরিস্তিতি জটিল হওয়ার আশঙ্খা করছেন অর্থনীতিবিদরা। শুধু মাত্র রাশিয়ার উপর নয় তেলের দর কমানোর জন্য আরো বেশ কিছু তেল উৎপাদন দেশ গুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছে পশ্চিমী দেশ গুলি। কিন্তু অশোধিত তেলের এই পতন রুখতে তৎপর তেল উৎপাদন করি দেশ গুলি। জি-৭ এর অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলি চাইছে তেলের ব্যারেল প্রতি ৬০ডলার করা হোক। কিন্তু রাশিয়া জি-৭ এর দেশ গুলিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তেলের দাম এত পরে গেলে তারা আর তেল রপ্তানি করবে না।
চলতি সপ্তাহে বুধবার ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল এর দাম ছিল ৭৭.১৬ ডলার। এই দিন আমেরিকার ডব্লিউটিআই তেলের দাম ছিল ৭১.৭৮ ডলার। চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে আমেরিকার ডব্লিউটিআই তেলের দাম ছিল ৭৮.৯১ ডলার। বর্তমান সময়ে আমেরিকার ডব্লিউটিআই তেলের দাম সর্বনিম্ন।
আন্তর্জতিক বাজারে অশোধিত তেলের দর কমার কোনো লক্ষণ ভারতে পড়েনি। টানা আট মাস ধরে কলকাতা তে পেট্রোল এর দাম রয়েছে ১০৬.০৩ টাকা। ডিজেলের দাম রয়েছে ৭২.৭৬ টাকা।
ইউক্রেন – রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতে অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও তেল যোগানে কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন লোগ্নিকারিরা। তারা আরো বলছেন যে অপরিশোধিত তেলের যোগান তখন দর বৃদ্ধির আশঙ্খা রয়েছে।