বিশ্বভারতীর অবনতির কারণে ফের অন্যদের দায়ী করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত বুধবার একটি বক্তব্যের মাধ্যমে তাঁর দাবি জানান বিদ্যা স্থান হিসেবে বিশ্বভারতীর অধঃপতন এক প্রকার ভাবে ঘটেই চলেছে এবং এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যরা। ছাত্র শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর অংশীদার সবাই। তার বক্তব্যর পাশাপাশি তিনি বিশ্বভারতীর রাবীন্দ্রিক’ ও আশ্রমিকদেরও আক্রমণ করেছেন আবার সোনার ডিম দেওয়া হাঁসের সঙ্গে তুলনা করতে ছাড়েননি। সমালোচকদের দাবি জানাচ্ছেন নিজে এতটুকুও দায় নেবেন অথচ বারবার অন্যদের উপরে দোষ চাপাচ্ছেন উপাচার্য।
শিক্ষায় বিশ্বভারতীর অবনতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে যথেষ্ট সমালোচিত বর্তমান উপাচার্য এবং উনয়ন মন্ত্রীর পদমর্যাদা অনুযায়ী যে প্রতিষ্ঠান ১১ নম্বরে ছিল, গত কয়েক বছরে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেবল অবনতি ঘটেছে। বিশ্বভারতী ২০২০ সালে ৫০ নম্বরে ছিল যেটা এখন ৬৪ তে দাড়ায়। পরে খোলা চিঠির মাধ্যমে উপাচার্য দাবি করেছেন অবনতির দায় শুধু কর্তৃপক্ষের নয়।
সুত্রে খবর বিশ্বভারতীতে দীর্ঘদিনের চলতে থাকা কর্মকাণ্ডের বাসা ভাঙতে বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশাসন এবং আরও অন্যান্য কাজে মনোনিবেশ করতে পারেননি বলে উপাচার্য জানান এবং এই খোলা চিঠির পরে অনেকের প্রশ্ন গত দুবছরেও যে সব কর্মকাণ্ডের বাসা ভাঙতে পারলেন না উপাচার্য।
তা হলে তিনি কী করলেন?
কিছু দিন আগে বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে উপাচার্যের বক্তব্য রাখা হয় যেখানে উপাচার্য এই বক্তব্য স্বীকার করেন যে বিশ্বভারতীর মান নামছে। তিনি আরো বলেন যে এরকম একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে বিশ্বভারতী আগের মতো নেই। এই ধারণাটি পুরো ভিত্তিহীন না কারণ এনআইআরএফ অনুযায়ী এর স্থান দিন দিন অনেক নিচে নেমেছে। কিছু বিভাগ ছাড়া চাকরির দুনিয়ায় এখানকার ছাত্রদের কর্মসংস্থান বেশ কমও হয়ে গেছে। কিন্তু এই অবস্থা কারণ কি?
তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফের উপাচার্যের অনেক প্রসঙ্গ এর কথায় উঠে আসছে। অন্যদিকে আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিক আক্রমণ করে উপাচার্য অভিযোগ করেছেন বিশ্বভারতী থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত রকম চাহিদা নিয়েছেন কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছুই করেননি প্রাক্তন উপাচার্যদেরও দায়ী করেছেন বর্তমান উপাচর্য। এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন তার এই কথায় আমার কোনও উৎসাহ নেই বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফ এর সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যে র বক্তব্য এই অবনতির জন্য সম্পূর্ণ ভাবে বর্তমান উপাচার্য দায়ী। কারণ এই একই ও শিক্ষক কর্মী প্রাক্তন সকলের প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালে এনআইআরএফ পদমর্যাদা বিশ্বভারতী ১১ নম্বর স্থানে ছিল। স্থায়ী উপাচার্য আসার পর থেকে বিশ্বভারতীর মান তলানিতে এসে দাড়িয়েছে। নিজের কর্মের দোষ আড়াল করার জন্য আজ অন্যদের দায়ী করছেন।