আফগানিস্তান সীমান্তে লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করল পাক সেনা এবং ‘কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট’ (সিটিডি)-এর যৌথ বাহিনী। পাক সেনা থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার দত্তা খেল এলাকায় দু’তরফের লড়াইয়ের পর ৬ জন টিটিপি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। তাছাড়াও পাক সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে, তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিটিপির বহু অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলি এলাকাতেও একই কায়দায় অভিযান চালানো হয়েছিল।
পাক সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরেই নভেম্বরের দিকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল টিটিপি। কিন্তু পাশতুন গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে দিয়ে পাক সেনা যে গোপন অভিযান শুরু করেছে এর ফলেই অশান্তি ছড়িয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। ডিসেম্বরে দিকে অভিযান চালিয়ে টিটিপির মূল ঘাঁটি বান্নু জেলা দখল করেছিল পাক সেনা। তার পর থেকেই দু’তরফের লড়াই শুরু হয়েছে। এছাড়াও আফগানিস্তানের তালিবান বাহিনীর সঙ্গেও সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাক সেনাও।
এককালে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেই এক অংশে আইন নিয়ন্ত্রণ ছিল টিটিপি-র। বালুচিস্তান প্রদেশের উত্তরাংশেও দিকেও তাদের প্রভাব রয়েছে। আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গিনেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত টিটিপি গোষ্ঠী বরাবরই ছিল পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে থেকেই পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শত শত পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিদের দল। একাধিক অভিযান চালিয়েও তাদের ধরতে পারেনি পাক সেনা। ২০০৯ সালে টিটিপি-র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ করেছিল পাক সেনা। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাসে সেটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান।