গত জুন মাস থেকেই গণ আন্দোলনের শিকার বাংলাদেশ। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই গণআন্দোলনের জেরে সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। শুধু ইস্তফা ই নয় দেশও ছেড়েছেন তিনি। তবুও প্রতিহিংসার আগুনে বাংলাদেশের জনগণ তটস্থ এখনও। একদিনে বাংলাদেশে নিহত সংখ্যা প্রায় ১৫০। এমনকি মঙ্গলবার সকালেও ঢাকায় বেশ কিছু সরকারি ভবন ও মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এই প্রেক্ষাপটেই পড়শি দেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর। এরপরই উদ্বেগ প্রকাশ করে জয় শংকর জানান পড়শি দেশে এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার ভারতীয়। তাদের মধ্যে প্রায় ৯ হাজার পড়ুয়া রয়েছে সেদেশে। বেশ কিছু পড়ুয়া গত মাসেই ভারতে ফিরে এসেছে বলে খবর। তবে বাকি ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।
রাজ্যসভায় বিবৃতি দিতে গিয়ে এস জয় শংকর ভারত এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেন। তিনি আরো বলেন যে, ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই নানান সমস্যা, অশান্তি পূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে থাকে। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলন পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও হিংসাত্মক করে তোলে। এর জেরেই সরকারি অফিস-বাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক এবং রেল অবরোধ চলে প্রায় জুন মাস থেকেই। তবে সেই সময় থেকেই বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই দিকেও খেয়াল রাখছে ভারত।
২১শে জুলাই সুপ্রিম কোর্টের কোটা নিয়ে রায়ের পরেও শান্ত হয়নি পড়শি দেশ। দাবি রাখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের। সেই দাবির জেরেই পরিস্থিতি চরম হয়ে ওঠে ৪ঠা আগষ্ট থেকে। সেই দাবির পরিণতিই হল হাসিনার পদত্যাগ, সাথে দেশত্যাগও।