নরেন্দ্র মোদী সরকার ভারতীয় নৌসেনার জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনতে সক্রিয় হয়েছেন। ভারতীয় নৌসেনার জন্য প্রাথমিক ভাবে আমেরিকার বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি ‘এফ-এ ১৮ সুপার হর্নেট’পছন্দের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এসেছে ইতিমধ্যেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাস ফ্রান্স সফরেই ২২টি ‘মেরিন রাফাল’ কেনার বিষয়ে চুক্তিপত্র সই হতে পারে বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে।এবং পাশাপাশি, চূড়ান্ত হতে পারে ফান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্করপেন ডুবোজাহাজ তৈরির।ভারত ছ’টি কলভরী গোত্রের স্করপেন ডুবোজাহাজ বানিয়ে ছিল ফরাসি সংস্থা ডিসিএনএস-এর সঙ্গে নকশা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে।এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছিল ‘প্রজেক্ট ৭৫’।২০১৫ সালের অক্টোবরে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল স্করপেন আইএনএস কলভরীকে।আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহারের জন্য কয়েক বছর আগেই রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে-র পরিবর্ত খুঁজতে শুরু করেছিল ভারতীয় নৌসেনা। বোয়িংয়ের তৈরি ‘এফ-এ ১৮ সুপার হর্নেট’ তালিকায়যুক্ত করা হয়েছিল। এবং গোয়ার নৌঘাঁটি আইএনএস হংস থেকে দু’টি যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা কয়েক মাস ধরে পরীক্ষা করা হয়। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয় রাফালের নাম। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ পরীক্ষাও হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ‘অ্যারেস্টর হুক’-এর সাহায্যে ৯০ মিটারের মধ্যে গতিবেগ ২৪৪ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনতে পেরেছে তেজস। কিন্তু অস্ত্রবহন ক্ষমতা এবং দূরপাল্লার উড়ানের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রাফাল।
এর আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য। যে চুক্তিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ফ্রান্স থেকেই।২০১৬ সালে প্রকাশিত খবরের অভিযোগ, ওই ডুবোজাহাজ সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সেই সব তথ্য অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল। ভারতীয় নৌসেনার দাবি, কিছু গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেলেও, তাতে এই ডুবোজাহাজের সক্ষমতা কোনও ভাবেই কমে যায় না।