বৈশাখ মাসের দশদিন কেটে যাওয়ার পরেও দেখা নেই কালবৈশাখীর।রবিবার তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, অব্যাহত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি।প্রচন্ড গরমে দুপুর থেকেই রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়েপড়ছেন অনেকেই।সোমবার প্রচণ্ডতাপ্রবাহের ফলে হাওড়ায় মৃত্যু হয় এক টোটো চালকের,প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো পশ্চিমবঙ্গে।
কলকাতাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলিতে বায়ুমন্ডলে বেশিমাত্রায় জলীয়বাষ্প রয়েছে,বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে আসা উষ্ণ-শুষ্ক হাওয়ায় তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে।দহনের দৌড়ে রাজস্থানকে টেক্কা দিচ্ছে বাংলা।সোমবার বাঁকুড়ায় সবথেকে বেশি গরমের রেকর্ড হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।দমদম ও ব্যারাকপুরে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি উপরে ছিল।রাজ্যের উষ্ণতম স্থান বাঁকুড়া তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৫.১ ডিগ্রি বেশি অর্থাৎ ৪৩.৯ ডিগ্রি, এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।আলিপুর আবহাওয়াদফতরের মতে,আগামী তিনদিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় জলের কোন আশা নেই তবে আগামী তিনদিন তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা ও দক্ষিণ বঙ্গের অন্যান্য অংশে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে মে মাসের ২-৩ তারিখ পেরিয়ে যেতে পারে।এই পূর্বাভাস মিলে গেলে গত ১০ বছরে প্রথম মার্চ-এপ্রিল মাসে কলকাতা বৃষ্টিহীন থাকবে।
বাইশের গ্রীষ্ম এমন রুদ্ররূপ দেখাবে তা আন্দাজও করতে পারেনি বঙ্গবাসি, তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে সোমবার বিএমওএইচদের সাথে বৈঠক করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি বলেন, জরুরী দরকার ছাড়া না বাইরে যেতে ,বাইরে গেলেও সঙ্গে থাকতে হবে ছাতা ও রোদ চশমা ।ছায়ায় কাজ করতে পারলে ভালো। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে, স্কুলে কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকলে ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থাও থাকতে হবে।