গত বৃহস্পতিবার ১৫ ই জুন সন্ধায় গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলে ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় ‘ বিপর্যয় ‘। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে বহু বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছ উপড়ে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম । সূত্র মোতাবেক কমপক্ষে ২২ জন আহত এবং মৃত ২ জন , এছাড়াও সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৩ টি পশু মারা গিয়েছে । মৌসোম ভবন এর পূর্বাভাস অনুযায়ী দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস ছিল । ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই গুজরাট প্রশাসনের তরফে প্রচুর মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে প্রাণহানির সংখ্যা কম এবং বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী দল ও উদ্ধারকারী দলের সতর্ক তত্ত্বাবধানে আটকে পড়া মানুষদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার ।
গুজরাটে ধ্বংসলীলা চালানোর পর ‘ বিপর্যয় ‘ প্রবল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রাজস্থানের দিকে এগোবে এবং সর্বোচ্চ ৪০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস । স্থানীয় সূত্রে খবর বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে মেরামতির কাজ চলছে । রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
এছাড়া আগামীকাল পর্যন্ত মাছ ধরার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে এবং জাহাজ নোঙর করা হয়েছে। দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির বৃহস্পতিবার ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল। এর পাশাপাশি গুজরাটের জামনগর বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে , এবং বাতিল করা হয়েছে ৯৯ টি ট্রেন । বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেল ও পেট্রোল মজুত করা হয়েছে।