সোলুখুম্বু থেকে কাঠমাণ্ডু যাওয়ার উদ্দেশে মঙ্গলবার সকালে রওনা দেয় একটি হেলিকপ্টার। জানা যাচ্ছে হেলিকপ্টারটিতে ক্যাপ্টেন ছাড়াও ছিলেন পাঁচ পর্যটক যারা সকলে মেক্সিকোর বাসিন্দা। সোলুখুম্বু থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেলিকপ্টার টির। আশঙ্কা করা হচ্ছে এর পরেই কোন কারনে দুর্ঘটনা ঘটে ওই হেলিকপ্টার টির সঙ্গে। ক্যাপ্টেন সহ পাঁচজন পর্যটককে মৃত বলে ঘোষণা করেছে নেপাল পুলিশ।
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেন, ‘‘মানাং এয়ার এনএ-এমভি চপারটি সুরকে বিমানঘাঁটি থেকে সকাল ১০টা ৪ মিনিটে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে উড়ে যায়। ১০টা ১২ মিনিটে শেষ বার চপারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছিল। তার পর থেকে হেলিকপ্টারটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।’’যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর নিখোঁজ হেলিকপ্টারটিকে খোঁজার জন্য আরও দুটি চপার পাঠানো হয়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে চপার দুটি নিখোঁজ হেলিকপ্টার টিকে খুঁজতে ব্যর্থ হয়।লামজুড়া এলাকার চিহানদান্দায় গ্রামবাসীরা এই দিন সকালে বিস্ফোরণের আওয়াজ পায় পরবর্তীকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ একটি দল সেখানে পাঠায় এবং সেই দল হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে পাহাড়চূড়ার কোন গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় হেলিকপ্টার টির তারপরই যাত্রীদের নিয়ে ভেঙে পড়ে সেই হেলিকপ্টার।
ঠিক কি কারনে এই দুর্ঘটনা তা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। নেপাল পুলিশ জানিয়েছেন পুরোপুরি ভাবে তদন্ত না করে তারা কিছু বলতে চাননা।