সবচেয়ে দূষিত বায়ুনগরী গুলির মধ্যে দিল্লির অবস্থান সব সময়ই উপরেই থাকে। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া থাকার কারণে বাতাসে দুষণ আরো বেড়ে যায়। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরেও ‘ভয়াবহ’ পরিমাণে দুষণ বেড়েছে দিল্লির বাতাসে। রবিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত দিল্লির বাতাসে গুণমানের সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স) দাঁড়িয়েছে ৪০৭-এ যা বায়ুদূষণের মাত্রা অনুযায়ী ‘ভয়াবহ’ ,৩০১-৪০০ মধ্যে সূচকের অবস্থান হলে তা ‘অতি খারাপ’ বলে ধরা হয়। বিগত ৫ দিন ধরেই দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে ছিলো। তবে রবিবার তা বেড়ে ‘ভয়াবহ’ পর্যায় পৌঁছে গিয়াছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি এবং তার আশপাশের অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাতাসের মান নির্ণায়ক কেন্দ্রীয় কমিশন (সিএকিউএম)। রবিবার নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করে সিএকিউএম জানিয়েছে, নির্মাণকাজের পাশাপাশি ভাঙাভাঙির মতন কাজ গুলোইও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখতে হতে পরে। এছাড়াও বাতাস পরিষ্কার রাখতে দিল্লি কয়েকটি এলাকায় পানিও ছেটানো হয়েছে।
মূলত নির্মাণ ক্ষেত্রগুলি থেকে নির্গত ধোঁয়া, যানবাহনের ধোঁয়া এবং এছাড়া পাশের রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষকের ফসলের মাঠে আগুন দেয়ার কারণে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়া বাতাসে মেশায় দিল্লির বায়ুতে এতটা দূষণের পরিমান বেড়েছে। যানবাহন থেকে নির্গত কালোধোঁয়াও দিল্লির বায়ু দূষণের প্রধান কারণ, যা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে দেশের সরকাও। গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ২০২৭ সাল থেকে দিল্লিতে ডিজেল চালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ কারার পরিকল্পনা কোরেছে।