হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই শুরু হবে ক্রিকেটে বিশ্ব সেরা হওয়ার লড়াই। ১২ বছর পর আবারও ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইতি মধ্যেই বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুর শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। বিশ্বকাপের সুদৃশ্য ট্রফিটি ভারতের কয়েকটা জায়গা ঘোরানোর পর নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় সেই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য। গত সপ্তাহের রবিবার দিন বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় সাউথ সিটি মলে। এরপর চলতি সপ্তাহের সোমবার এই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় অনাদাবাজার পত্রিকার অফিসে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আইসিসি পূর্ব ভারতে একমাত্র সংবাদমাধ্যম হিসেবে আনন্দবাজার পত্রিকা কেই বেছে নিয়েছে ট্রফি প্রদর্শনের জন্য।
এই দিন বিকেলে চারটে নাগাদ আইসিসি এর আধিকারিক দের তত্বাবধানে ট্রফি পৌঁছায় অনাদাবাজার পত্রিকার অফিসে। সেই ট্রফিকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন এবিপি সংস্থার সিইও ধ্রুব মুখোপাধ্যায়। এরপর আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রফি রাখা হয় এবিপি সংস্থার কর্মীদের এবং প্রধান অতিথিদের দর্শনের জন্য। এই দিন ট্রফি প্রদর্শনী কে কেন্দ্র করে আনন্দবাজার এর অফিসে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শ্যাম থাপা, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির ঘোষ, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, উপস্থিত ছিলেন বাংলা টলি জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এদিন ঝুলন গোস্বামী বলেন- ‘‘বিশ্বকাপ মানেই বিশেষ অনুভূতি। অন্য কোনও কিছুর সঙ্গে তার তুলনা চলে না।’’ ১২ বছর পর আবারও দেশের মাটিতে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপ ভারত কি পারবে বিশ্বকাপ ঘরেই রাখতে? সেই প্রসঙ্গে ঝুলন গোস্বামী বলেন- ‘‘বিশ্বকাপে ভারতীয় দল এ বার খুবই শক্তিশালী। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল যে ভাবে ব্যাট করল তা দলকে বাড়তি ভরসা গেবে অবশ্যই। প্রথম চার জন ব্যাটসম্যানের ছন্দ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছিল, তা এই পাকিস্তান ম্যাচের পরে আশা করি শেষ হবে। রাহুল প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই অসাধারণ শতরান করল। তবে ভারতীয় দলের তুরুপের তাস হতে পারে হার্দিক পাণ্ডে। ব্যাটিং বিভাগের মূল স্তম্ভ ও-ই।’’ ভারতীয় বোলিং ইউনিট প্রসঙ্গে ঝুলন গোস্বামী বলেন- ‘‘ভারতীয় দলের স্পিন বিভাগ নিয়েও চিন্তা করার কোনও কারণ দেখছি না। কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল, রবীন্দ্র জাডেজা থাকতে আর কারও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি না।’’
এরপর বাংলার রঞ্জি ট্রফিজয়ী দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও একমত হন ঝুলন গোস্বামীর সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘‘অঘটন না হলে ভারত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবেই। ভারত ছাড়া সেমিফাইনালের বাকি তিনটি টিম কারা হবে সেই পরসঙ্গে তিনি বলেন – “আমার মতে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। তবে ঘরের মাঠে খেলা হচ্ছে বলে ভারত-ই এগিয়ে থাকবে।”
আনন্দবাজার পত্রিকার অফিসে সোমবার সকাল থেকেই উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সমস্ত কর্মীরাই গা ভাসিয়েছিলেন এই উন্মাদনায়। বিশ্বকাপ ট্রফি কে একবার চোখের সামনে দেখা এবং তার সঙ্গে ছবি তোলার মুখিয়ে ছিলেন অনেকেই।