এবার মমির দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী , সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হল বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকদের। স্বাক্ষরিত একাধিক চুক্তি। নতুন চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় যেমন চাষাবাদ, প্রত্নতত্ব সংরক্ষণ, রাজনৈতিক ও সামরিক সখ্যতা, অর্থনৈতিক কুশলতা ও গবেষণা ভিত্তিক বিষয়ে একে অপরের হাত ধরার আশ্বাস দিয়েছেন মিশরের রাস্ট্রপতি আব্দেল ফাতাহ্ এল সিসি। এছাড়াও ভারতের ‘কম্পিটিটিভ ল’ (COMPETITIVE LAW) অথবা প্রতিযোগিতামূলক আইনেরও অন্তর্ভুক্ত হলো মিশর। এই আইন অনুযায়ী, যে সকল মিশরীয় সংস্থা ভারতে বাণিজ্য করতে ইচ্ছুক, তাদের সঙ্গে দেশীয় সংস্থার কোন প্রকার ভেদাভেদ করবে না ভারত সরকার।
কাশ্মীরের প্রতি মোদী সরকারের অবস্থান যে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না ইসলামীয় দেশগুলি, তার নিদর্শন ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছিল। শ্রীনগরে এই বছর আয়োজিত হওয়া জি২০ পর্যটন সম্মেলনে মিশরের সঙ্গে উপস্থিত ছিল না আরও বেশ কিছু ইসলামীয় দেশের মাথারা ।
কাশ্মীর নিয়ে বরাবরই উত্তেজনা জিইয়ে রাখে পাকিস্তান। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক সুনিবিড় করে ফের কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে চাপা উস্কানি ভেসে উঠেছিল উত্তরের হাওয়ায়। এমতবস্থায় মিশরের সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার, অর্ডার ইন নাইল-এ ভূষিত হলেন নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে ২০২৩ সালে ১৩ টি নাগরিকত্ব পুরস্কার পেলেন তিনি। মিশর সফরে হেলোপোলিস গিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিশর ও ইডেনে নিহত ৪৩০০ ভারতীয় শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং আল হাকীম মশজিদ পরিদর্শন করে বোহরা সম্প্রদায়ের সাথেও সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী ।