গত ১৯ শে মে এবং ২২ শে মে পিনহুইল গ্যালাক্সি তথা এম-১০১ নামের এক ছায়াপথে নক্ষত্রের বিস্ফোরণের উজ্জ্বল আগুন বিন্দুকে দুটি শিখায় জ্বলতে দেখা যায় । এই বিস্ফোরণকে ‘টাইপ-২’ সুপারনোভা হিসেবে ধরা হচ্ছে। সাধারণ ভাবে সূর্যের চেয়ে আট গুণ বড় কোনো নক্ষত্রের বিস্ফোরণকে এই গোত্রের ধরা হয়। মহাকাশে এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছসিত ‘লিকুইড প্রপালশান সিস্টেমস সেন্টার’ নামের সংগঠনের শখের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ।
মানুষের এক প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা অনুযায়ী নক্ষত্র বা তারা চিরজীবী । কিন্তু মহাকাশে অবিরাম নক্ষত্রগুলিতে বিস্ফোরণ হয়েই চলে ক্রমে শেষ পর্যায় এই অসীম শক্তির ভান্ডারে যখন টান পড়ে তখন তা প্রবল বিস্ফোরণ ঘটায় , তখনই সৃষ্টি হয় সুপারনোভার । আর এই নক্ষত্র যদি সূর্যের চেয়ে আট গুণ বড়ো হয় তাহলে তার বিস্ফোরণের ছাপ অন্ধকার মহাকাশেও তীব্র আলোড়ন ফেলে ।
লিকুইড প্রপালশান সিস্টেমস সেন্টারের সখের মহাকাশ গবেষকদের এই সাফল্যে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে ইসরো। ইসরোর তরফে পেশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে , অত্যন্ত সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়েও যে এমন অভাবনীয় কাজ করা যায় মূলত উৎসাহ, নিষ্ঠা ও উদ্ভাবনী দক্ষতাকে সম্বল করে , তা প্রমাণ করলেন ওই বিজ্ঞানীরা।