রাতের অন্ধকারের আকাশে তারা দেখে দিক চেনার সেই কৌশলটি থেকে সত্যি হয়তো বঞ্চিত হতে চলেছে সমগ্র বিশ্ববাসী। কিছুদিন পর তারা ভরা আকাশটি দেখা একটি অলৌকিক ঘটনায় পরিনত হবে সবার কাছে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
গবেষণা সূএে খবর, ‘লাইট-এমিটিং ডায়োডস’ অর্থাৎ LED ও অন্যান্য আলোর প্রকাশের ফলে রাতের আকাশের উজ্জ্বল ভাবটা ক্রমেই বেড়ে উঠছে।প্রায় চারিদিকে এখন অতিরিক্ত আলো, পথের ধারে ধারে উজ্জ্বল আলো , বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের আলো, রাতে খেলার মাঠে উজ্জ্বলতম আলো, আমাদের চারিপাশে এতই আলো যে আমাদের চোখ থেকে খুব সহজেই মুছে দিচ্ছে তারার সেই সুন্দর দৃশ্যমানতা।
ক্রিস্টোফার জানান, ‘রাতের আকাশ টিও আমাদের পরিবেশেরই অংশ। আমাদের পরের প্রজন্ম যদি রাতের আকাশের সুন্দর দৃশ্য দেখতে না পায় তাহলে তাদের জন্য সেটা একটি বড় বঞ্চনার কারণ হয়ে উঠবে ।’ গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে বেড়ে চলেছে রাতের আকাশের উজ্জ্বলতা। আজ সদ্যজাত শিশু রাতের আকাশে ২৫০টি তারা দেখতে পেলেও ১৮ বছরে পর সে দেখতে পাবে মাত্র ১০০টি তারা।
দিনদিন ক্রমে পৃথিবী আরো উন্নতির পথে গেলেও দূষণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরিবেশ কে, আর তাই এই দূষণ একটু ঠেকাতে আলোর উজ্জ্বলতা কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা । সাদা আলো গুলির ব্যবহার বাড়াতে বলেছে ।আলোর এলইডির নীল আলো টি যেমন শরীরের ক্ষতি করে, তার সাথে সাথে রক্তে শর্করার পরিমণেও অনপকটা সমস্যা আনে, এবং মেলোটোনিনের উৎপাদনের পরিমাণ ও বাড়ায় ।
আলোর দূষণের কারণে মানুষের সাথে সাথে সমস্যার শিকার হচ্ছে সমুদ্রের কচ্ছপ ও পরিযায়ী পাখিরাও।