কখনও একটানা সাতদিন বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছে? কখনও মাসের পর মাস কলোম্বাসের মতো মহাসমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন? বিশ্বাস করুন, যদি ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে বিকেলে আরামকেদারায় টানটান হয়ে বসে চা’য়ে চুমুক দিতে গিয়ে আজ আপনার এমন খেয়াল হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঠিক যেমনটা প্রয়োজনীয় গোরার দ্বিতীয় অধ্যায়ের লেখনী কলাকুশলীদের।
প্রথম সিজনের বিপুল সাফল্যের পর, ফের একবার ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনীত গোরা বেরিয়ে পড়ে বাচ্চা মেয়েদের “অলৌকিক মৃত্যু” তদন্ত করতে। একটা নয়, দু’টো নয়, একাধিক খুনের স্পেশালিস্ট সে। কিন্তু, সমস্যা সেখানেই। যদি খুন একাধিক হয়, চরিত্রগুলোও একাধিক। আর, যদি চরিত্র একাধিক হয়, নিদেনপক্ষে লেখকের কলমেও পর্যাপ্ত কালি থাকতে হবে তো, চরিত্রায়ণ করার জন্য। সেটা কই?
পরিবারের সদস্য নিহত – প্রহসন, রহস্যের জট পঁচিয়ে ধরছে – প্রহসন, রাস্তায় হাঁটছে গোরা – প্রহসন, খেতে বসেছে গোরা – প্রহসন, হাই তুলছে গোরা – প্রহসন…. বিশ্বাস করুন, যারা এস ভেন্চুরা অথবা পিঙ্ক প্যান্থর দেখেছেন অথবা নিদেন পক্ষে টেনিদা পড়ে ফেলেছেন, তাদের এতোটুকু হাসি পাবে না। এর সাথে আবার যোগ দিয়েছে সিরিয়াল বুক অব এথিক্সের অন্যতম নীতিজ্ঞান – এক বর, দুই বউ কিংবা দুই বর – এক বউ। পুরো সিরিজের আসল রহস্য যেন সেটাই – গোরা বিয়ে করবে কাকে?
বিষয়বস্তু নিঃসন্দেহে ভালো হলেও বাকি সবকিছু একবার নয়, দু’বার নয়, একাধিকবার চটকাতে স্পেশালিস্ট গোরা সিজন টু।
ভালোর মধ্যে ঋত্বিক চক্রবর্তীর স্বচ্ছ অভিনয় দক্ষতা ও শেষের দু’টো এপিসোডের লোমহর্ষক উত্তেজনা। যদি সত্যিই বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায় ল্যাদ লাগে, প্রথম এপিসোডের পর ওগুলোই দেখে আসতে পারেন।
RATING – 1.5/5 ????