আগমনীর গানে অতীতকে স্মরণ করে ‘মায়ের’ আসার অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু। তাই পুজোর আনন্দও যে দ্বিগুণ হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মহালয়া উপলক্ষে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে শুরু হয়েছে তর্পণ।পুজো শুরু হতে বাকি এখনও ৬ দিন। তবে রবিবার সকালে দেখা পড়লো এক বিরল দৃশ্য, মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং। কোভিডের কড়াকড়ির পরে এ বছরই প্রথম বিধিনিষেধ ছাড়াই পুজো হচ্ছে গোটা রাজ্যে জুড়ে। গত বছরের মতো এবার কলকাতার আকর্ষণীয় পুজোগুলির মধ্যে শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাব।কলকাতায় বসেই রোম শহর ঘোরার স্বাদ নিতে তাই মহালয়ার দিনেই দলে দলে দর্শনার্থী হাজির শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে। গত বৃহস্পতিবারই এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই পুজো নিয়ে নতুন উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ছে কলকাতাবাসীর মধ্যে। এ বছরও মহালয়া থেকেই ফের ফিরল সেই চেনা ছবি। নতুন জামা কাপড় পরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন পুজো পাগল বাঙালিরা।
গত বছর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয় দর্শনার্থীদের ভিড় এতটাই নেমেছিল যে শেষ পর্যন্ত মণ্ডপের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল পুজো উদ্যোক্তারা। এবারও পুজোর শুরুতেই সেখানে একই ছবি দেখতে পাওয়া গেল তা দেখে বলাই যায় ফের ফিরতে চলেছে গতবারের পুরনো স্মৃতি। ঢল নামতে চলছে দর্শনার্থীদের। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে এবারে রোমের ভ্যাটিক্যান সিটির আদলে তৈরি করেছে তাঁদের পুজো মণ্ডপ। এই দিন টালিগঞ্জ, সোনারপুর, চন্দননগর এবং রাজ্যের বহু জায়গা থেকে বহু দর্শনার্থীরা এসেছেন শ্রীভূমির পুজো মন্ডপ দেখতে। শ্রীভূমির পুজোর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “শ্রীভূমিতে মায়ের গয়না দেখার জন্য মানুষের মধ্যে একটা বড় প্রত্যাশা থাকে। ঠিক করা হয়েছিল দেবীপক্ষে আমরা মাকে গয়না পরাবো। সেই অনুযায়ী আজ মহালয়ার দিন দুর্গা মাকে গয়না দিয়ে সাজিয়ে তোলা হল। সুবর্ণ জয়ন্তি বর্ষ বলেই সোনার গয়না এ বছর ধারে ভারে অনেকটাই বেশি।এদিন মন্ত্রী সুজিত বসু আরও জানান, সোমবার থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য এই পুজো মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। সোমবার থেকেই ভ্যাটিকান সিটিতে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।