প্রারম্ভে আমরা চিঠির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকতাম যা স্বাভাবিকভাবেই ছিল ধীর সম্পন্ন একটি প্রক্রিয়া কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে পায়ে পা মিলিয়ে আমাদের সকলের হাতে চলে এসেছে এখন মোবাইল যার মাধ্যমে খুব সহজেই তথ্য আদান প্রদান করা যায়। মোবাইল হলো বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে একটি অপরিহার্য ইলেকট্রিক যন্ত্র । এর মাধ্যমে বর্তমানে সব ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব এবং এটি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় এবং খুব সহজেই পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় । কিন্তু বর্তমানে এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে যেখানে অজান্তেই মোবাইল থেকে পৌঁছে যাচ্ছে এক দেশের তথ্য অন্য দেশের কাছে।
২৬ শে নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) হুয়াওয়ে ও জেডটিই সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত চীনা কোম্পানির তৈরি টেলিযোগাযোগ ও ভিডিও নজরদারি সরঞ্জামগুলো ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি’ বলে নিষিদ্ধ করেছে। সিকিউর ইকুইপমেন্ট অ্যাক্ট ২০২১ বিধির আওতায় এমনই কয়েকটি চীনা ব্র্যান্ডের টেলিযোগাযোগ ও ভিডিও নজরদারি সরঞ্জাম আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। এফসিসি কমিশনার ব্রেন্ডান কার বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এফসিসির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির অনুমোদন নিষিদ্ধ করতে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছি।’
২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সিকিউর অ্যান্ড ট্রাস্টেড কমিউনিকেশনস নেটওয়ার্কস অ্যাক্ট নামক আইনটি চালু করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন যোগাযোগ সেবাগুলো শনাক্ত করতে আইনটি পাস হয়েছিল। এই আইনের আওতায় যেসব যোগাযোগ সেবাকে হুমকি বলে শনাক্ত করা হয়েছিল সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিকিউর ইকুইপমেন্ট অ্যাক্ট ২০২১-এ স্বাক্ষর করেন। আর এর আওতাতেই এই উদ্যোগটি ঘোষণা করেছে এফসিসি।মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, হুয়াওয়ের মতো চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি সরঞ্জাম পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ে তাদের গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। যা দেশকে নিরাপত্তা ও ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।